রবিবার, ২৯ মে, ২০২২

এক পশলা বৃষ্টি


 


এক পশলা বৃষ্টি
___রিয়াজুল রাজিব

আকাশে আজ ভীষণ মেঘ
বজ্রপাতের শব্দ,
বৃষ্টি বিলাস করব কি আর
ভয় করেছে জব্দ।

বাহিরে বইছে ঝড় হাওয়া

শুনশান শব্দ,

চারিদিকে অন্ধকার

ঘর যে স্তব্ধ।

মেঘেরা আজ করছে খেলা
করছে ছোটাছুটি,
বৃষ্টি আমার উঠোন জুড়ে
কাদায় লুটোপুটি।

কিছু মানুষ ভেজায় শরীর
ভেজায় নাতো মন,
বৃষ্টিকে যে করে অনুভব
বৃষ্টির আপণজন।

কেটে যাবে বলে বৃষ্টি
করিনা অপেক্ষা,
দুঃখ গুল ধুয়ে ফেলতে
ভেজার প্রতীক্ষা।

বৃষ্টি বিনা অসহায় প্রকৃতি
বেড়ে ওঠে না কিছু,
রঙধনুর রঙে রাঙাতে জীবন
ছূটছি বৃষ্টির পিছু।

মেঘ কেটে যায় সূর্য হাসে
দুঃখের পরে সুখ,
এক পশলা বৃষ্টি শেষে
ভাল কিছু হোক।


বুধবার, ১৮ মে, ২০২২

স্মৃতির পাতায়


 

স্মৃতির পাতায়

__রিয়াজুল রাজিব


তোমার প্রেমের কাটেনি ঘোর 

কাটেনি এখনো রেশ,

তোমার স্মৃতি বুকে নিয়ে

এইতো আছি বেশ।


তোমায় ভোলার নেইতো সাধ্য

পাইনা খুঁজে অর্থ,

সহস্রবার চেষ্টা করেও

হয়েছি আমি ব্যর্থ।



যাব দেখতে কোন একদিন

হয়ত কোন এক প্রহরে,

কর্ম ব্যস্ত হাতে বলবে

কে এলো মোর দুয়ারে।


চোখ তুলে তাকাবে 

চেনা চেনা এই মুখ,

যাকে দেখে ভুলত কষ্ট

পেতাম অনেক সুখ।


তুমি কি সে যাকে নিয়ে বুনতাম 

অনেক স্বপ্ন,

হারিয়ে ফেলেছি ফুরিয়ে এসেছি

আহ কি দুঃস্বপ্ন!


স্মৃতির পাতায় মনের খাতায়

আজও আছে যার ছবি,

তোমার স্মৃতি বুকে নিয়ে

বেঁচে আছে এই কবি।




রবিবার, ৮ মে, ২০২২

শাড়ীতে নারী


 

শাড়ীতে নারী

__রিয়াজুল রাজিব


দেখতে তোমায় লাগে পরী,

যখন তুমি পরো শাড়ী,

সাত সমুদ্র দিব পাড়ি,

কর যদি মোর হৃদয় বাড়ি।


আচলের গন্ধে তোমার,

 ভাঙবে আমার ঘোর,

চাঁদ মাখা ঐ মুখটি দেখে,

কাটবে যে প্রহর।


প্রকৃতির রঙে রাঙাবো তোমায়,

সাজাবো এমন সাজ,

হারিয়ে যাব লুকিয়ে রবো,

কুচিতে দিয়ে ভাঁজ।


নেভী ব্লু শাড়ীর সাথে খোপায় বেলী ফুল,

হাটার ছন্দে দুলবে যখন কানের জোড়া দুল,

হয়ে গিয়ে  মাতোয়ারা,

করব কিছু ভুল।




সোমবার, ২ মে, ২০২২

শৈশবের ঈদ


 


শৈশবের ঈদ🌙

__রিয়াজুল রাজিব


ঘনিয়ে আসতেই ঈদের দিন

মনের মধ্যে বাজত বিন,

বাবার কাছে করতাম আবদার

নতুন পোষাক কিনেদিন।


স্বজনরা চাইত দেখতে আমার

কেমন রঙের পোষাক,

ঈদের আগে দেখাব না বললে

হত তারা অবাক।


সবাই মিলে যেতাম মোরা

দেখতে ঈদের চাঁদ,

মেঘের কোলে আসত ভেসে

খুসির ভাঙত বাঁধ।


প্রগ্রাম গুল হত শুরু দিয়ে

নজরুলের গীত,

রমজানের ঐ রোজার পরে

এলো খুসির ঈদ।


কার আগে কে লাগাবে মেহেদী

নখে লাগাবে পলিশ,

মেহেদী লাগিয়ে পড়ত ঘুমিয়ে

রঙিন পিছানা বালিশ।


সারা রাত আমি থাকতাম জেগে

সকালের আসে আসে,

সবার আগে সাজব আমি

রঙিন স্বপ্ন ভাসে।


পেতে না পেতেই সকালের আভাস

টুপি পাঞ্জাবি লাগিয়ে সুবাস, 

বড়দের গিয়ে করতাম সালাম

সালামির নেশা করত গ্রাস।


হাটি হাটি পা-পা করে 

যেতাম ঈদগায়ে,

ঈদের সালাত করতাম আদায়

ঘেঁসে গায়ে গায়ে।


সালাত শেষে কোলাকুলি 

হাতে রাখতাম হাত,

ছিল না হিসাব ধনী গরিব

উঁচু নিচু জাত।


শৈশব শেষে যবে থেকে

যৌবনে রাখলাম পা,

হারিয়ে গেল ঈদের খুসি

ঝাড়া দিয়ে গা।