শুক্রবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২২

বাবার কাঁধ


 


বাবার কাঁধ

__রিয়াজুল রাজিব


সবার চেয়ে চওড়া কেন 

বাবার ঐ কাঁধ,

অবলীলায় বয়ে বেড়ায়

সমাজ সংসারের বাঁধ।


সন্তানের তরে বাবার রাখা

 চুলছেড়া অবদান,

হিসাব করলে হবে না শেষ

 কৃতিত্বের অবসান।


বাবা নয়তো শুধু একজন মানুষ

নয় সম্পর্কের নাম,

বাবার মাঝে লুকিয়ে আছে 

অদ্ভুত মায়া_বিশালত্তের দাম।


সবার চেয়ে সত্বর যেন

বাবার ঐ দু-পা,

এতোটা পথ আগলে রাখে

ভুলে গিয়ে সব ঘা।


বাবার চোখ দেখতে পায়

কোন দূরত্ব কল্পনা অঙ্কিত,

সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে

তিনি থাকেন যে শঙ্কিত।


বটগাছের মত ছায়া দেয়

হয়না যে ক্লান্ত,

বাবা কে কখনো দেখিনি আমি 

হয়েছেন পরিশ্রান্ত।


মুখের দিকে তাকিয়ে যে 

বুঝে আমার অভাব,

কত টাকা লাগবে বলা

বাবারই'তো স্বভাব।


পৃথিবীতে কোন মেয়ের কাছে

বাবাই যে তার ভাল,

সারা জীবন জ্বালায় যিনি 

অনুপ্রেরনার আলো।


প্রতিটা মেয়ে নাও হতে পারে

স্বামির কাছে রানী,

বাবার কাছে রাজকন্যা

বাবার চোখের মণি।


কথায় নয় বাবারা যে 

কাজেই হয় বিশ্বাসী,

মুখ ফুটে বলে না সে

তোমায় ভালবাসি।

রবিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২২

চিরকুট


 


চিরকুট
__রিয়াজুল রাজিব

একাল সেকাল কেটে গেছে যে কাল,
আসিবে না আর ফিরে,
ভালবাসা হত চিরকুটে বিনিময়,
প্রতীক্ষার প্রহর ঘিরে।

সংক্ষিপ্ত করে অজস্র কথা
গুজে দিয়ে এক খামে,
অপেক্ষায় থাকত প্রতিউত্তরের
পাঠাবে প্রিয়জনে।

সময়টা ছিল যতই কঠিন
দূরত্ব ছিল বেশ,
প্রেমটাও ছিল ততই খাঁটি
কাটেনি কখনো রেশ।

হাতের লেখাটা হত ভাল
চিঠি লিখে লিখে,
সাহিত্য আর কাব্য চর্চা
হয়নি কখনো ফিকে।

কাঁপা কাঁপা হাতে  দুরুদুরু বুকে
ঝরিয়ে অশ্রু জল,
সযত্নে লেখা দিত কেটে
হারিয়ে মনোবল।

কাজলের কালি আর নয়নের জল
লেগে যেত চিঠির ভাজে,
বালকটিও থাকত অপেক্ষায় তার
সকাল কিংবা সাঁঝে।

অনূভুতি গুল আছে আজও
বদলেগেছে তার রূপ,
যবে থেকে আসল ধরায়
যন্ত্রের এই যুগ।


বুধবার, ২০ এপ্রিল, ২০২২

মায়ের মমতা


 

মায়ের মমতা

__রিয়াজুল রাজিব


জন্ম থেকে কমেনি যার এতটুকু মমতা,

জন্ম ধাত্রী মা ছাড়া কার আছে এই ক্ষমতা।


ব্যথা পেলে সর্বপ্রথম যে করে অনুভব,

মহীয়সী নারী মা যে আমার রাখে এই মনোভব।


কোন রোগের কি চিকিৎসা লাগে না শংসাপত্র,

আরগ্য কামনায় সর্ব সময় থাকে যত্রতত্র।


আরামের ঘুম করেছে হারাম রাতের পরে রাত, 

হাসি মুখটা দেখবে বলে ওরে মানিক চাঁদ। 


অনাহারে থেকেও রাখে নি যে,

 আমায় কখনো উপস,

শোধ হবে না মায়ের ঋন,

যতই যাক যাক দিবস।

রবিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২২

সভ্যতার বেহাল


 


সভ্যতার বেহাল
__রিয়াজুল রাজিব

সভ্যতার আজ কি হয়েছে হাল,
ঠেকে গেছে পিঠ দেয়ালে,
পুতুল দিয়ে হয় মঙ্গল কামনা,
আসে না কিছু খেয়ালে।

সংস্কৃতি চায় পশ্চিমাদের,
শাসন চায় আরবের,
দুই নিয়ে আজ টানা হ্যাঁচড়া,
বিবাদে জড়িয়েছে মানবে।

ছেঁড়া ফাড়া পোষাক নাকি নারীর অধিকার,
ভুলে গিয়ে আজ মৌলিক অধিকার,
অসামাজিকতা করতে রোধ,
কি আছে প্রতিকার?

পেয়ে বসে যদি কোন অবলা নারী,
রাতে কিংবা দুপুরে,
ধর্ষন করতে হয় মরিয়া,
পুরুষ নামের কুকুরে।

নিজের বোন হয় পরী,
অন্যের বোন মাল,
বখাটেতে গেছে দেশটা ভরে,
সমাজ আজ বেসামাল।

দুই দিনের এই দুনিয়া,
থাকবা কত দিন,
সম্পদের জন্য করছ হত্যা,
হায়রে হৃদয়হীন।

ঘুষ খেয়ে আর দুর্নীতি করে,
টাকা কাড়ি কাড়ি,
অন্যের হক কেড়ে তুমি,
গড়ছ সুখের বাড়ি।

ওরে মন শোনরে শোন,
হোস না মনুষ্যহীন,
মৃত্যু হোক কৃতী হয়ে,
বেঁচে থাক চিরদিন।









বৃহস্পতিবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২২

নববর্ষ


 নববর্ষ

___রিয়াজুল রাজিব

শুভ শুভ শুভ দিন,

আসল আবার নতুন দিন,

ভুলে গিয়ে সকল দুঃখ,

ভালবাসা বিলিয়েদিন।


বছর ঘুরে যখন আসে পহেলা বৈশাখ,

পাড়ায় পাড়ায় বসে মেলা,

ঢাকি বাজায় ঢাক।


মোরা যে বাঙালি জাত,

ধর্ম গোত্র না হলেও এক

শিল্প সংস্কৃতি মোদের,

 করেনি যে কখনো ত্যাগ।


বৈকাল বেলায় হয় ঝড়,

মাঝির মনে লাগে যে ডর,

নাগর দোলায় করে ভর,

বিষন্নতাকে করব পর।






















সোমবার, ১১ এপ্রিল, ২০২২

অপসংস্কৃতি


 

অপসংস্কৃতি

__রিয়াজুল রাজিব


খাদ্য থেকে শুরু করে আজ,

 সংস্কৃতিতে দুর্ভোগ,

প্রকৃত শিল্পিদের জীবনে এসেছে,

 আহা একি দুর্যোগ।


দিতে তারা সস্তা পরিচিতি সাজছে এমন সাজ,

টিকটক আর ইউটিউবে নাচছে বানর নাচ।


নিতম্ব আর শরীর দেখিয়ে,

পাগলের ন্যায় বাবরি ঝুলিয়ে,

হতে চায় প্রখ্যাত,

লজ্জা শরম বলতে তাদের কিছু নেই অক্ষত।


গলা নেই তার, শুরে নেই ধার,

তুবুও গেয়ে যায় গান,

গাচ্ছিস কি ভাই সেটা ভেবে,

 হারিয়ে ফেলছি জ্ঞান।


লটাক মটাক কাঁচা বাদাম,

হয় নাকি গীতিকবিতা,

দুশ্চিন্তায় পড়ে আমি,

লিখেছি এই ছোট্ট কবিতা।




শনিবার, ৯ এপ্রিল, ২০২২

রেসিপি



রেসিপি
__রিয়াজুল রাজিব

সার্চ করিলে ইউটিউবে,
মিলে বিভিন্ন রান্না,
কিসের ইন্টারনেট কিসের ইউটিউব,
আর না আর না।

তেল ছাড়াও হয় রান্না,
কুমড়ায় হয় বেগুনী,
চাল ছাড়াও কি ভাত সম্ভব,
কিযে বলেন আম্মাজি।

পেঁয়াজ না হয় নাইবা দিলাম,
আদা রসূনের কি দরকার,
দারুন দারুন রেসিপি শিখাচ্ছে,
জন দরদী সরকার।

মরিচ একটু কমিয়ে দিলাম,
লাগবে না হলুদের রঙ,
পেট ভরতেই হারিয়ে ফেলেছি,
জীবনের যত সঙ।

আমিষের বাজারটা যাচ্ছে কড়া,
নিরামিশেই শেষ,
চাপা মেরে ভরব উদ,
শুনতেই লাগে বেশ।







 

বুধবার, ৬ এপ্রিল, ২০২২

শূন্য হৃদয় পূর্ন করে





শূন্য হৃদয় পূর্ন
__রিয়াজুল রাজিব


মোর শূন্য হৃদয় পূর্ন করে এসেছিলে যেদিন তুমি,
সেদিন থেকেই বুঝেছি আমি ভালবাসা কত দামি।

দেখতে দেখতে কেটে গেল কিছু সময়ের মতো,
কাটুক সময় এমনি করে বছর যত শত।

তোমার ভেজা চুলের গন্ধে ভাঙে সকাল বেলার ঘুম,
বেনীর ভাজে ভাজে এঁকেছি প্রেমের চুম।

ক্লান্ত  দিনের প্রান্তে এসে দাও যখন দর্শন,
সব কিছু যাইযে ভুলে হৃদয়ে সুখের বর্ষন।

তোমার অভিমানে দেয় যে খড়া হাসিতে নামে বৃষ্টি,

তোমার হাসির লাবণ্যতায় ফুলেদেরও কাড়ে দৃষ্টি।

The beauty of your eyes


The beauty of your eyes

__Reazul Razib


The beauty of your eyes make me realise, I'm in love with.


Angle of your lip give me a treat, is beyond price.


Smile on your face repeatedly says,"can you despise ?"


The way you walk give me a knock, at my heart.


When you talk clean the fog, in my life.


Your hair in black is ready to attract, my glance.












 

অভিমান


 





অভিমান
__রিয়াজুল রাজিব


অনুধাবন যদি না হয় আমার অভিমান,
তবে ভুলে যাও এই সম্পর্ক যার নেই কোন মান।
দুই হৃদয়ের মধ্যে যদি থাকে অন্তরায়,
ভালবেসে লাভ কি বল শুধুই বেদনাময়।
সবটকু দিয়ে চেয়েছিলাম বাসিতে তোমায় ভাল,অবহেলা করলে তুমি করলে না আমায় বরণ।
অপেক্ষায় থাকি কখন শুনব তোমার গলার সুর,হৃদয় নামের দুঃখ তরী বায়িব কত দূর।
সত্যিই যদি ভালবাস দেও কেন কষ্ট,মনটা কে ভেঙে কেন কর অষ্টপিষ্ঠ? 
ভালবাসি বলে যদি ভাব আমায় দূর্বল,পাথর হব অতি শোকে হব আমি দুর্বার।




ঘুম তোমার পরেছে প্রেমে

ঘুম তোমার পরেছে প্রেমে 

__রিয়াজুল রাজিব

ঘুম তোমার পরেছে প্রেমে তুমিও দিয়েছো সাড়া,

একলা একা প্রেম পিপাসু হয়েছি পাগল পাড়া।

তোমার কি ওগো সত্যিই ছিল ঘুমের এতো তারা,

স্তব্ধ এই রাত যেথায় আমি নিদ্রাহারা?

পালিয়ে গেলে আজও তুমি ঘুমের সাথী হয়ে,

অবহেলার পাত্র আমি,

মায়ায় কেউ না পড়ে।



আমার কথার অর্থ


 

বুঝোনি কি তুমি আমার কথার অর্থ,

অনুধাবন করতে মোরে হয়ো না ব্যর্থ।

আমি যে চাই  উড়ো সখী  মুক্ত আকাশে,

তোমার হাসির শব্দ ভেসে বেড়াক ফাগুনের বাতাসে।

যখন দেখি কোন আগন্তকের পাশে


তোমায় যখন দেখি কোন আগন্তকের পাশে,

প্রান আমার উড়ে যায় দিগন্তের শেষে।

প্রান ছাড়া নিথর দেহের নেই কোন মূল্য,

তোমার মতো নেই কেউ হবে সমতুল্য।

হারানোর এই ভয় আমার না আর সয়, 

কম্পিত হৃদয় বুকের বাম পাশে।



অনেক করে বেসেছি যে ভাল

 



অনেক করে বেসেছি যে ভাল

__রিয়াজুল রাজিব

তোমায় আমি অনেক করে বেসেছি যে ভাল,

অন্ধকার জীবনে আমার হবে তুমি আলো।

সূর্য উদয় হবে আবার আমার মনের দেশে,

দিব পারি সাগর মোরা দুজন খেলে হেসে,

বিরহ ভরা হৃদয়ে আমার ফুটল প্রেমের ফুল,

যখন থেকে দুচোখ তোমার করেছে মসগুল।

তোমার দুটি আকাশ চোখে হতে চাই আমি তারা,

ভালবেসে রাখবে ধরে সুখের আলো ছায়া।

দিশাহারা জীবন আমার নদীর মত ধারা,

হতে  পারে শান্ত যদি তুমি দাওগো সাড়া।





 


কেমন করে দিব বিদায়


কেমন করে দিব আমি তোমায় যে বিদায়,
তোমার বিরহে আমার এমন থাকিবে যে সদয়।
প্রিয় গেয় না আর বিরহের গান,
কেনা মোর এই প্রান।
প্রানটুকু কেড়ে নিলে বাসিবে কারে ভাল?


 

কতদিন দেখি না তোমায়

 


কতদিন দেখি না তোমায়

___রিয়াজুল রাজিব

কতদিন দেখি না তোমায় স্পর্শের নাগালে,

ধরা দেও তুমি এসে শয়নে ও স্বপনে।

দিনে দিনে এযেন বাড়াচ্ছে দির্ঘশ্বাস,

যতক্ষন আছে প্রান,যতক্ষন আশ।

তোমারো কি হে প্রিয় যন্ত্রনা বিচ্ছেদের,

তবে পাখি হয়ে আসো উড়ে হৃদয়ে অচিরে।

হৃদয়ে যেন অগ্নি শিখা জ্বলছে নিশিদিন,

পেতে তোমার একটু ছোঁয়া ভালবাসা সীমাহীন।

এসো হে প্রিয় এসো মোর কাছে,

বুকে জড়িয়ে তোমায় যাব ভালবেসে।







অন্ধকার এই রাত


 


অন্ধকার এই রাত,

তুমি যে আমার চাঁদ।

আমার দু-চোখের  ঘুম,

করেছো তুমি গুম।

নিদ্রাহারা এই আখিঁ, 

দেয় না কভু ফাকি, 

দেখতে তোমার জ্যোৎস্না ভরা মুখ।

ঘুমে কাতোর,

 হয়ো না পাথর,

বুঝতে আমার মন।

হয় অনুভব,

নয় অনুতাপ,

করো না দ্বিধা,

 বলে দেও সিধা

ভালবাসো কি আমায়??

কিসের থেকে ভাগছ তুমি

 


কিসের থেকে ভাগছো তুমি  পথের নেই নেই যে শেষ,

মনের সাথে মন মিশেছে  কাটছে তাদের বেশ।

হৃদয় বড় স্বার্থপর ভাবেনা নিজের কথা,

না চাইলেও আমার হৃদয় বুঝবে তোমার ব্যথা।

আমি যা ভাবি তুমিও কি ভাব,

 অনুভূতি কি মোদের এক,

তবে অপসারিত হোক মাথা থেকে বিভ্রান্তির ঐ মেঘ।




মঙ্গলবার, ৫ এপ্রিল, ২০২২

টিপ টিপ এই বৃষ্টি


 

টিপ টিপ এই বৃষ্টি

___রিয়াজুল রাজিব

টিপ টিপ এই বৃষ্টি,কেড়েছে মনের দৃষ্টি।

জমকালো এই মুহূর্তু,হৃদয়ে প্রেমের সৌহার্দ্য।

বাহিরে বৃষ্টি মনে ঝড়,তুমি আমায় করনা পর।

মেঘের মিলনে হয় গর্জন,তুমি শুধুই আমার অর্জন।

পাহাড় গায় ঝরনার গান,তোমার জন্য হৃদয়ে টান।

 হয় যদি বৃষ্টি নিত্যদিন,রোম্যান্স হবে প্রতিদিন।

---------

বৃষ্টি যেমন থাকে মেঘে,

প্রেম থাকে হৃদয়ে,

ভালবেসে রাখবো আগলে,

যতই আসুক প্রলয়।

তুমি চাইলে নামে বৃষ্টি,

তুমি চাইলে খড়া,

সুঃখে দুঃখে থেকো পাশে,

হুর পরি অপ্সরা।



কাজল কালো চোখ


 

তোমার ঐ কাজল কালো চোখ,

দেখে চেয়ে থাকি অপলোক।

কেটে যায় প্রহর,

অচেনা এই শহর,

জনাকীর্ন গলি,

এতোটুকু বলি শুধু তোমায় খুজে পাই প্রতিটি রাস্তায়।

তোমার হাটা চলা,

অনুভূতির এই খেলা,

 হৃদয়ের গ্যালারি করেছে পূর্ন।

তুমিআমায় করনী পর

 




তুমি আমায় করনী পর,

হৃদয় বড়ই স্বার্থপর,

নিজেকে নিজে করেছি পর।

একলা একা ভবঘুরে তোমার রাজ্যে ঘুরি,

দিলে দিতে পার একটু ঠাই,

হৃদমাজারের চিলে কোঠায়,

হও যদি করুনাময়ী।

অপরূপ ধরণী






 অপরূপ ধরণী

___রিয়াজুল রাজিব


কি অপরূপ ধরণী মোদের খোদা তায়ালার দান,

তাহার সৃষ্টি দেখে বান্দার ভরে যায় যে প্রান।

তুমি যে রাব্বুল আলামীন,কর মেহেরবান।


বিনিময় সে চাইনি কিছু,

অন্যায় কাজের ছার পিছু,

পাঁচওয়াক্ত সালাত পড়ে বল তাহার নাম।

তুমি যে রাব্বুল আলামীন,কর মেহেরবান।


সকাল কিংবা দিবা রাতে,সালাত শেষে মোনাজাতে,তোমার কাছে চাইযে পানা 

হে মহীয়ান।

তুমি যে রাব্বুল আলামীন,কর মেহেরবান।


দুনিয়ার মায়ায় শয়তানের ধোঁকায় তোমায় যাইযে ভুলে,অপেক্ষায় থাক করতে মাফ কখন আসিব ফিরে।

দয়ার সাগর খোদা তুমি, তুমিই তো মহীয়ান।

তুমি যে রাব্বুল আলামীন,কর মেহেরবান।

ভালবাসার অধিকার


ভালবাসার অধিকার

__রিয়াজুল রাজিব।


ভালবেসে যে অধিকার দিয়েছ তুমি,

কেড়ে নিলে সরে যাবে চরণ তলের ভূমি।

ভুলে গিয়ে ব্যক্তি সত্তা,

মিলিয়েছি আত্মায় আত্মা।

আমিতো চাইনী মোর তরে ভেজাও কপল খানী,

তোমার মুখের একটু হাসি হৃদয়ের ফুলদানি।

তুমি কি জান কেন আমি হইযে আত্মহারা,

হারিয়ে নয় ভেলবেসে মোরে করে রেখ মাতোয়ারা।

এদিন সেদিন যতদিন যায়, 

হৃদয় ততই পরাধীন হয়,

বসিয়ে আসন করছ শাসন হয়ে হৃদয়ের রানী, তোমার রাজ্যে প্রজা হয়ে শুনব প্রেমের বানী।

যেতে চাই অনেক দূর

 


যেতে চাই অনেক দূর

___রিয়াজুল রাজিব


যেতে চাই আমি অনেক দূর,যেখানে শুধুই পাখির সুর।

চারিদিকে সবুজ আমি যে অবুঝ চাইনা মানবের হিংসা,

ভালবাসি প্রকৃতি যার নেই কোন চাওয়া নেই কোন ঈর্সা।

বিরক্ত আজ এই সমাজে স্বার্থপরতায় ভরপুর,

জীবন যেন দুর্বিসহ এলাম কোন অচিনপুর?

পেতে চাই আমি একটু শান্তি বেঁচে থাকার বিশ্বাস,

খুঁজে দেও আমায় এমন কোথাও ফেলব সুখের নিঃশ্বাস।

কি হবে এই সমাজে থেকে মিথ্যার মায়া জাল, প্রহর শেষে মিলেনা যেথায় মনে মনের তাল।

জন্ম থেকে ছুটছে তারা কত কিছুর পিছে,

মৃত্যু যে তার আসল সত্য হোক বা না হোক ইচ্ছে।

মাটির দেহ মাটির ঘর মাটিতেই যায় ক্ষয়,

কি নিয়ে দাম্ভিকতা করছ যে বড়াই?

পাতা ঝরা বসন্ত


 

পাতা ঝরা বসন্ত 

___রিয়াজুল রাজিব


পাতা ঝরা বসন্ত আর ফাগুনের হাওয়া,

নতুন করে ভালবাসা যেন নাড়ছে মনে কড়া।

গাছে গাছে নতুন পাতা ডালে ডালে পাখি,

মনের দুয়ারে কে যেন আজ দিচ্ছে কেবলই উকি।

নতুন করে ফুটছে ফুল ভুলে গিয়ে সকল ভুল,

প্রকৃতি যেন সেজেছে আজ দেখাতে তাহার রুপ,

তোমার রুপে হয়েছে পূর্ন  অপূর্নতার ধূপ।

মুক্তা ঝড়া হাসি


 মুক্তা ঝড়া হাসি

___রিয়াজুল রাজিব।


তোমার মুক্তা ঝড়া হাসি আর  মৃদু গালে টোল,

চোখ জুড়িয়ে যায় আমার বুকে দামাদোল।

কেমন হাসি হাসো সখী কেড়েছো আমার ঘুম,

নিদ্রায় গিয়েও দেওগো দেখা নয়তো মনের ভ্রম।

বাসনা মোর হাসো প্রিয় মনের জানালা খুলে,

দেখব আমি অবাক চোখে বিষণ্যতা  ভুলে।

তোমার ঠোঁট নয় যেন বাঁকা চাঁদ,

চোখ নয় যেন তরবারি,

সহস্র বার করলেও আঘাত,

তোমার হৃদয় আমার বাড়ি।

তুমি কাঁদলে আমাবর্ষা,

হাসলে জ্যোৎস্না রাত,

এসেছে আলো আমার জীবনে ভেঙেছে খুসির বাঁধ।

কপালের টিপ







 




কপালের টিপ

__রিয়াজুল রাজিব।


জেনে না জেনে তুমি করেছ ভুল কপালে পরেছ টিপ,

পতিতাদের যে দিয়েছিল উপহার নমরুদ নামের কীট।

হয়েছিল ব্যর্থ পোড়াতে মোদের জাতির পিতাকে,

পতিতা এনেছিল উলঙ্গ করে ফেরেশতাদের সরাতে।

আকাশ সাক্ষী বাতাস সাক্ষী,সাক্ষী এ জাহান,

 ১৮ মাইলের অগ্নিকান্ড কাড়েনি তাহার প্রান,

তিনি হলেন জাতির পিতা ইব্রাহিম (আঃ)।

শয়তানের সাথে মিলিয়েও হাত নমরুদ হয়েছিল কুপকাত,

টিপ নিয়ে যারা করছিস বড়াই,

তোরা হলি ইবলিসের জাত।

নিঃসঙ্গ এই জীবন


নিঃসঙ্গ জীবন

__রিয়াজুল রাজিব


নিঃসঙ্গ এই জীবন আমার বড়ই বিষাদময়,

সময় যেন কাটে না মোর নিঃশ্বাসে লাগে ভয়।

ভালবেসে আমি হয়েছি ব্যর্থ পেতে কারো মন,

নিঃসঙ্গ এই জীবনে আমার কে আছে আপণজন?

একলা একা থাকি বসে দুশ্চিন্তার বেড়াজাল,

নিঃসঙ্গতা কাটাতে মোর জড়ায়নি কোন মায়াজাল।

কেন হয় এমন,

 ধরা দেয় না মন,

 শূন্য এই হৃদয়,

এভাবেই হয়ত দিব একদিন পৃথিবীকে বিদায়।